তিনি নিজেই আমডাঙার দায়িত্ব নিচ্ছেন। বহিছগাছির জনসভায় বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমডাঙায় অশান্তির দায় সম্পূর্ণ সিপিএমের উপরেই চাপালেন তিনি। আর বললেন, যে কোনও মুল্যে খুঁজে বার করা হবে জাকির বল্লুককে। সিপিএম অবশ্য তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর দিকে। ‘‘পুলিশ যত ছিল, হোর্ডিং-ব্যানার যতগুলো ছিল, অভিষেকের সভায় লোক ততগুলো ছিল না,’’— মন্তব্য সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যের।
আমডাঙার বহিছগাছিতে এ দিন জনসভা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ন’দিন আগে ওই এলাকাই বোমা-গুলিতে সবচেয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। অন্তত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল, জখম হয়েছিলেন ১০ জন। তার পর থেকে ব্যাপক পুলিশি তৎপরতা এলাকায়। প্রায় রোজ অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। চলছে ব্যাপক ধরপাকড়ও। এর মধ্যেই ৩ সেপ্টেম্বর আমডাঙা থানার সামনে জনসভা করার কথা ছিল সিপিএমের। কিন্তু মহম্মদ সেলিম, তন্ময় ভট্টাচার্যদের সে দিন আমডাঙায় ঢুকতেই দেয়নি পুলিশ। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যারিকেড করে সন্তোষপুর মোড়ের কাছেই আটকে দেওয়া হয়েছিল সিপিএম নেতাদের।
বৃহস্পতিবার অবশ্য ছবিটা অন্য রকম ছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি উপলক্ষে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল আমডাঙাকে। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার সি সুধাকর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তিন জন ডেপুটি পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিরাট বাহিনী ঘিরে রেখেছিল গোটা এলাকা। ছিল র‌্যাফ, কমব্যাট ফোর্স। কলকাতা বিমানবন্দরের কাছ থেকে আমডাঙা পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’ধারেও ছিল পুলিশি বন্দোবস্ত।