ফের মহিলা-নিগ্রহের ঘটনা দিল্লিতে।
বন্ধুর অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক তরুণীকে বেধড়ক মারধর করলেন দিল্লির এক পুলিশকর্তার ছেলে রহিত সিংহ তোমর। চুলের মুঠি ধরে ওই তরুণীকে টেনে নিয়ে গিয়ে তাঁকে কিল, চড় মারা হয়। তাঁর পেটে লাথিও মারা হয়। করা হয় গালিগালাজ। শুক্রবার রহিতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পরে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে ওই নিগৃহীতা তরুণী বলেছেন, ''রহিত আমাকে ওর বন্ধুর ওই বিপিওতে কাজের জন্য ডেকে পাঠায়। আমি সেখানে গেলে আমাকে ধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনার কথা আমি পুলিশে জানাব বলতেই রহিত আমাকে মারধর করতে শুরু করে।''
পুলিশ জানাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটে গত ২ সেপ্টেম্বর। ওই দিন বিকেল তিনটে নাগাদ দিল্লির উত্তম নগর এলাকার একটি বিপিও-তে ওই ঘটনা ঘটে। বিপিওটি চালান রহিতের বন্ধু আলি হাসান। ২১ বছর বয়সী ওই তরুণী ওই বিপিওতে গিয়েছিলেন চাকরির খোঁজে।
ঘটনাটা ঘটে পুলিশকর্তার ছেলে রহিতের বন্ধুদের সামনেই। রহিতের বাবা দিল্লি পুলিশের (মধ্য) নারকোটিক্স বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর  অশোক সিংহ তোমর। রহিতেরই এক বন্ধু গোটা ঘটনার ভিডিয়ো তুলে রাখেন। তাতে শোনা যায়, ওই বন্ধু রহিতকে বলছেন, ''থামো, থামো, আর মেরো না।'' কিন্তু তার পরেও থামেননি রহিত। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় বিব্রত হয়ে পড়েন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। টুইট করে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। তাঁর নির্দেশেই শুক্রবার রহিতকে গ্রেফতার করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ এবং ৩৫৪ নম্বর ধারায় রহিতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
মহিলার ওপর দিল্লির পুলিশকর্তার ছেলের অত্যাচার
00:15 / 00:30
: Ad ends in 00:14
Skip Ad

তবে দিল্লির ওই পুলিশকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনটি সুইচড অফ হয়ে রয়েছে।