"উর্দি পরে এলেন কেন?" পুলিশকে ভর্ৎসনা বিচারকের
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে দুবরাজপুর থানায় বধূ হত্যা সংক্রান্ত একটি মামলা রুজু হয়। তখন দুবরাজপুর থানার SI ছিলেন পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়। তিনি ছিলেন ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার (IO)। এখন তিনি বীরভূমের কাঁকরতলা থানার OC। বধূ হত্যার মামলাটি চলছে বিচারক কল্লোল কুমার দাস-এর এজলাসে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মামলার সমস্ত স্বাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়ে গেলেও IO আদালতে হাজির না হওয়ায় মামলার রায় দান ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে।
৩ জুলাই IO-র আদালতে হাজিরার দিন ছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। এরপরেও কয়েকবার তিনি আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও উপস্থিত হননি। আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় গত ২০ আগস্ট বিচারক জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন IO-কে গ্রেপ্তার করে উর্দি ছাড়াই যেন আদালতে তোলা হয়। বিচারক IO-র বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন। তারপর গতকাল আদালতে উর্দি পরেই হাজির হন মামলার IO তথা কাঁকরতলা থানার OC পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়।
উর্দি পরে আসায় কড়া ভাষায় OC-কে ভর্ৎসনা করেন বিচারক৷ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারক OC-কে বলেন, "এটাকে কী হিসাবে দেখব? সারেন্ডার, নাকি প্রোডাকশন? যদি সারেন্ডার হয় তাহলে উর্দি পরে এলেন কেন?" বারবার আদালত তলব করা সত্ত্বেও কেন তিনি হাজিরা দেননি, তার কারণ দর্শানোর চিঠি নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলেন OC। বিচারক OC-কে বলেছিলেন পুলিশ সুপারের চিঠি নিয়ে আসতে। কিন্তু গতকাল OC অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের চিঠি নিয়ে আসেন। সেজন্যও OC-কে ভর্ৎসনা করে আদালত।
পরে মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবীরা আদালতের কাছে পুলিশ প্রশাসনের গলদের কথা স্বীকার করেন।
ফের ১৮ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেন OC-কে পুলিশ সুপারের চিঠি নিয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
No comments:
Post a Comment