কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেতে পারেন বীরভূমের ৩ BJP নেতা
BJP-র বীরভূম জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় এবং সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডলের উপর হামলায় চিন্তিত BJP-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এছাড়া সদ্য তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে ঢুকে পঞ্চায়েত দখলের কারিগর শুভ্রাংশু চৌধুরিকেও নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, BJP-র জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের ইলামবাজার এলাকায় রাস্তার ধারে একটি ধাবা রয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেখানে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছিল। একইভাবে জেলা সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডলের উপর তিনবার আক্রমণ করা হয়েছিল। প্রথমবার সিউড়ি বড় পোস্ট অফিসের কাছে। সে সময় দৌড়ে আইনজীবীদের বারে ঢুকে প্রাণ বাঁচান তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় সিউড়ি দলীয় কার্যালয়ে তাঁকে মারধর করা হয়। একইসময় মনোনয়ন জমা নিয়ে তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে তাঁর পিছনে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। আক্রমণকারী ছিল তৃণমূল আশ্রিত শেখ সেরু। সেই ছবি ক্যামেরা বন্দী হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু ১৪ দিন পর সে জামিনে মুক্তি পায়।
অন্যদিকে একসময় তৃণমূলের দাপুটে নেতা গণপুরের শুভ্রাংশু চৌধুরি BJP-তে যোগদান করে একটি পঞ্চায়েত দখল করে নেন। যদিও তারপর থেকে তিনি কার্যত গৃহবন্দী। তাঁর নিরাপত্তার বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পর্বে তৃণমূলের হাতে আক্রান্তদের নিয়ে রাষ্ট্রপতি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। তখনই রাজ্যে সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরেন মুকুলবাবু। তারপরই তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ঠিক হয়েছে তিন জনকেই কমপক্ষে চারজন করে নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হবে।
এপ্রসঙ্গে রামকৃষ্ণ রায় বলেন, “আমাকে লক্ষ্য করে ধাবাতে ৩০ টি মতো বোমা ছোঁড়া হয়েছিল। সেসময় আমি বরাতজোর বেঁচে যাই। তবে মানুষ যদি আমাদের সঙ্গে থাকে তাহলে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রয়োজন নেই। আমি তাই নিরাপত্তারক্ষী না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
একই বক্তব্য কালোসোনা মণ্ডলের। তিনি বলেন, “আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। তাঁরাই তো আমাদের নিরাপত্তা দেবেন। ফলে আমরা সবিনয়ে জানিয়েছি আমাদের নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই।”
তবে শুভ্রাংশু চৌধুরি নিরাপত্তা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েতে জয়ের পর থেকে কার্যত গৃহবন্দী হয়ে রয়েছি। দোকানে যেতে পারছি না। সব সময় তৃণমূল হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন চোখ বন্ধ করে রয়েছে। ফলে আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।
”
No comments:
Post a Comment